## Chapter 503 – Associate Priest Kim Kat

” উইনিয়া। কিন্তু তুমি একা সামলাতে পারবে তো? আজকাল একবার করলেই তো অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছ। ঢোকার সাথে সাথেই বেরিয়ে আসতে হবে না তো?”
“ফাজলামো হচ্ছে? আজকাল কালো ভালুকটা বেশি বেড়ে গেছে।”
“তাহলে তাড়াতাড়ি শাসন করা উচিত।”
“কালো ভালুককে শাসন করতে গিয়ে এখন উল্টো আমিই শাসিত হচ্ছি।”

বুঝতে তো পারছিস।

“হাহ। তাহলে এই কারণে এত শান্ত হয়ে গেছিস?”
“জানি না। তাড়াতাড়ি হাঁটো।”

উইনিয়ার মুখটা বেশ খুশি খুশি দেখাচ্ছিল। একে যত দেখি তত পাগল হয়ে যাই। আর কিছু না, সরাইখানায় ঢোকার সাথে সাথেই অসীম আদর শুরু করে দেব।

এইসব কথা বলতে বলতে হাঁটছিলাম, হঠাৎ সামনে লাল চুলের এক মহিলার দিকে চোখ গেল।

এই বাঁ**টা আবার কে?

“…?”

লাল রঙের চিফাওয়ের মতো পোশাক পরা, বড় স্তন আর হিংস্র চেহারার লিজেট দাঁড়িয়ে ছিল। চোখাচোখি হতেই আমরা দুজনেই থমকে দাঁড়ালাম।

কিছুক্ষণ ধরে একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইলাম।

“আহ… শুনেছিলে বোধহয়, ও একজন বিবাহিত পুরুষ?”

লিজেট প্রথমে মুখ খুলল।
উইনিয়ার দিকে তাকিয়ে ও কথাটা বলল।

“হ্যাঁ, শুনেছিলাম। ভালো আছ তো? গিল্ডমাস্টার কেমন আছেন?”

লিজেটকে শেষবার দেখার থেকে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। তবে এখন ওকে বেশ দুর্বল লাগছে। অবশ্য, আগে ওর থেকে একটু পিছিয়ে ছিলাম, কিন্তু এখন আর নেই।

বুঝতে পারছি, আমি জিততে পারব।

আমার পোশাকের নিচে থাকা যাজকের সরঞ্জাম খুলে ফেললেও আমিই জিতব। আমার তীক্ষ্ণ অনুভূতি বুঝিয়ে দিচ্ছে, আমাদের মধ্যে কতটা পার্থক্য।

“আমি তো ভালোই আছি। দিদিও ভালো আছে, তবে আজকাল একটু দুর্বল হয়ে গেছে।”
“দুর্বল কেন?”
“জানি না। তবে তোমার মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি? কিছু হয়েছে নাকি?”

লিজেটও বুঝতে পেরেছে যে আমি শক্তিশালী হয়ে গেছি। চোখ ছোট করে ও কথাটা বলল। অবশ্য, ওর সাথে আমার ঝগড়া করার কোনো মানে নেই। আমরা তো একসময় বন্ধু ছিলাম।

“এমনিই কিছু ঝামেলা ছিল। গরিবদের থেকে টাকা তোলার ব্যবসা কেমন চলছে?”
“শালা শুয়োরের বাচ্চা।”

লিজেট ক্লান্তভাবে মাথা নাড়ল।

“আবার শুরু করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আগের দলটা পুরো গায়েব হয়ে গেছে। গরিব বস্তির সব অপরাধী হাওয়া! একটাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হাল ছেড়ে দিয়েছি। পরে যদি আবার কেউ আসে, তখন দেখা যাবে।”
“এই বাঁ**টা…”

—যদি ব্যবসা ভালো চলত, তাহলে আমার খারাপ লাগত। তবে সব শেষ হয়ে যাওয়ায় ভালো লাগছে।

বস্তির অপরাধীরা সব দূর হয়ে গেছে শুনে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, আমার কাজের ফলেই এটা হয়েছে। ভালো কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

“তাহলে একসাথে টাকা তোলার যে কথা ছিল, সেটা আর হচ্ছে না।”
“তাই নাকি? খুব খারাপ লাগছে।”
“পরে একদিন ফাইটার গিল্ডে এসো। মারিয়েল মাঝে মাঝে তোমার কথা বলে।”
“ওহ? তাই?”

কথা শেষ করে লিজেট হাত নাড়িয়ে চলে গেল। হুমম, কোনোদিন যদি আবার মারামারি করার সুযোগ পাওয়া যেত। তবে ফাইটার গিল্ডে আর যেতে ইচ্ছে করছে না।

রিজটিনা যদি আবার আমার বাঁ** দেখতে চায়, তাহলে মুশকিল হয়ে যাবে।

“…কালো ভালুক? এই মহিলাটি কে?”

লিজেট চলে যাওয়ার পর উইনিয়া সন্দেহের চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।

“আহ, ও আমার এক বন্ধুর মতো। আগে কয়েকবার বলেছি না? ফাইটার গিল্ডের একজন সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর, ওর সাথে আমার দেখা হয়েছিল।”

উইনিয়াকে আমি অনেকবার ওর কথা বলেছি, যদিও আগে কখনো দেখাইনি।

“ওহ, তাই? সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর? তবে পরিবেশটা একটু অদ্ভুত ছিল, তাই না?”
“পরিবেশ অদ্ভুত মানে?”
“…”

উইনিয়া ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। ওহ, ও কি ভাবছে লিজেটের সাথে আমার কিছু একটা ছিল?

মরলেও এমন কিছু হবে না।

“আরে না, উইনিয়া। ও আমার শুধু পরিচিত। আমরা দুবার মারামারিও করেছি।”
“মিথ্যে কথা। ওর স্তন দেখে তো মনে হচ্ছে তোমার খুব পছন্দের। বন্ধু বলছ, নাকি শুধু স্তন বড় তাই ভাব জমিয়েছ?”

স্তন বড় হলে আমার ভালো লাগে, এটা সত্যি।

“বিশ্বাস করো, উইনিয়া, একদমই তেমন কিছু না।”
“জানি না। আমাকে কোলে নাও।”

লিজেটের সাথে কথা বলার জন্য উইনিয়া রেগে গেছে।

ঘরে ফিরে অনেকক্ষণ ধরে ওর স্তন টিপে রাগ কমাতে হবে।

শেষমেশ একটা সরাইখানায় গিয়ে উইনিয়ার মন ভালো করলাম। অবশ্য, পাঁচ মিনিটও কাটল না, ওর রাগ দূর হয়ে গেল।

* * *

পরের দিন সকালে আমি ক্লাউডি আর উইনিয়াকে নিয়ে গিল্ডে গেলাম।

গতকাল একজন কর্মচারী বলেছিল আজ আবার আসতে, তাই মনে হয় আজই রওনা দিতে পারব। তাই কারিন আর রিশাকে বিদায় জানিয়ে এসেছি।

“সিরিয়াল কিলার… হুহ, ক্যাট নিশ্চয়ই পারবে। ক্যাট, চেষ্টা করো?”

কী চেষ্টা করতে হবে জানি না, তবে ক্লাউডি হেসে মুষ্টিবদ্ধ হাত দেখালে চেষ্টা করতে রাজি হলাম।

“আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”

যাইহোক, উইনিয়া কাউন্টারে গিয়ে কর্মচারীর সাথে কথা বলে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে এল। ও আমার দিকে সার্টিফিকেটটা এগিয়ে দিয়ে বলল,

“কালো ভালুক, গতকাল আমি যা চেয়েছিলাম, সেটা ওরা মেনে নিয়েছে। একটা দ্রুতগামী গাড়ি তৈরি আছে, আমরা এক্ষুনি রওনা দিতে পারি।”
“ওহ, তাই?”

তাই আমরা সাথে সাথে রওনা দিলাম।

আমাদের গন্তব্য ইসভান্টের উপকণ্ঠে ওহিল নামের একটি গ্রাম। এটা একটা সাধারণ গ্রাম, যেখানে লোকেরা চাষাবাদ করে আর ফল বিক্রি করে জীবন চালায়।

সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনাগুলো গ্রামের আশেপাশে ঘটেছে। বেশ কয়েকজন নিখোঁজও হয়েছে, সম্ভবত তাদের খুন করা হয়েছে।

এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

তবে শুনেছি কোরিয়াতেও প্রতি বছর প্রায় ৪,০০০ মানুষ পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়। প্রতি বছর একটা ডিভিশনের চেয়েও বেশি মানুষ মারা যায়, কিন্তু আমি যখন সেখানে থাকতাম, তখন কাউকে মরতে দেখিনি।

আসলে, অ্যাডভেঞ্চারাররা সবসময় দুর্ঘটনার দিকে ছুটে যায়, তাই তাদের সাথে এমন ঘটনা ঘটে। আমরা দ্রুতগামী গাড়িতে করে ওহিল গ্রামের দিকে রওনা দিলাম।

গ্রামে পৌঁছাতে প্রায় দেড় দিন লাগল। এই গাড়িগুলোর সাথে আমি কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারি না। ক্লান্ত শরীর নিয়ে গাড়ি থেকে নামতেই ফসল কাটার সময়ের গ্রামের দৃশ্য চোখে পড়ল।

“উফফ, সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনাগুলো খুব ভয়ঙ্কর।”

গাড়ির চালক বলল।
এবার গ্রামের প্রধানের সাথে দেখা করতে হবে।

বরাবরের মতো আশেপাশে জিজ্ঞাসা করে প্রধানের বাড়ির দিকে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, একজন বুড়ো প্রধান সন্দেহজনক চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

“…আপনারা কি অ্যাডভেঞ্চারার?”
“হ্যাঁ। শুনেছি আগের অ্যাডভেঞ্চারাররা নিখোঁজ হয়ে গেছে, তাই আমরা এসেছি। তারা কি ফিরে এসেছে?”
“…না। ভেতরে আসুন।”

আমরা প্রধানের বাড়িতে গেলাম এবং তার অভিযোগ শুনলাম। টাকা দিয়ে অ্যাডভেঞ্চারার ডেকেও তারা হাওয়া হয়ে গেছে, আর একজন লোক মারা গেছে।

“কী ভয়ঙ্কর! সৈন্যরাও কোনো কাজ করতে পারেনি!”

শয়তানের ঘটনার কারণে সৈন্যরা এই গ্রামে এসে টহল দিচ্ছে, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

“শান্ত হন। আমরা এসেছি সমস্যা সমাধান করতে। আমাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে চলুন।”
“ওখানে গিয়ে কী হবে…”
“না দেখলে কিছু জানতে পারব না। আমার সময় নেই। আর পাশের জন একজন জাদুকরী, তাই খারাপ ব্যবহার করবেন না।”

উইনিয়ার দিকে তাকিয়ে কথাটি বললাম, প্রধান মাথা নত করল।

“…দুঃখিত।”

মনে হচ্ছে প্রধান ভাবছে আগের অ্যাডভেঞ্চারাররা পালিয়ে গেছে। তাই তার ব্যবহার খারাপ। তবে আমি এসেছি টাকা কামাতে, তাই ব্যবহার নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না।

প্রধান আমাদের সাথে সাথে চলল।

বাইরে ফসল কাটা চলছিল।

প্রধানের কাপড়চোপড় দেখে মনে হচ্ছে, তারও কাজ করা উচিত ছিল। জায়গাটা শান্তিপূর্ণ হলেও সিরিয়াল কিলার ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা যখন যাচ্ছিলাম, তখন গ্রামের লোকেরা আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল।

“ও, ওনারা কি আবার এসেছেন?”
“দয়া করে! আমরা খুব ভয় পাচ্ছি! আমাদের বাঁচান!”
“সিরিয়াল কিলার! এটা সত্যি হতে পারে না! আআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআ